২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৭০% বিদ্যুৎ শূন্য-কার্বন উৎস থেকে, দক্ষিণ এশিয়ায় রয়েছে বিশাল সম্ভাবনা
দক্ষিণ এশিয়া সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে বৈশ্বিক নেতৃত্ব দিতে পারে— এমন মন্তব্য এসেছে এনার্জি ট্রানজিশনস কমিশনের (ইটিসি) প্রকাশিত আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিবেদনে। সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ বর্তমানে জীবাশ্ম জ্বালানির তুলনায় অধিক সাশ্রয়ী, এবং প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিকভাবে টেকসই।
প্রতিবেদন মূল বিষয়গুলো তুলে ধরে:
- ⚡ ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক বিদ্যুৎ চাহিদা ৩০,০০০ TWh থেকে বেড়ে ৯০,০০০ TWh-এ পৌঁছাবে
- 🔋 এর প্রায় ৭০% পূরণ হতে পারে শূন্য-কার্বন নবায়নযোগ্য উৎস, প্রধানত সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ
- 🌞 দক্ষিণ এশিয়া তাদের সূর্যবেষ্টিত ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশাল সম্ভাবনার অধিকারী
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আশাবাদী বিশ্লেষণ: জ্বালানি বিশ্লেষক শফিকুল আলম বলেন, “বাংলাদেশেও নবায়নযোগ্য জ্বালানির খরচ কমছে। জমি বরাদ্দ ও ট্রান্সমিশন খরচ নিয়ন্ত্রণ করা গেলে সৌর বিদ্যুৎ একটি সম্ভাবনাময় বিকল্প হয়ে উঠবে।”
অবকাঠামো ও নীতিমালার সুপারিশ:
- আধুনিক গ্রিড, ব্যাটারি সংরক্ষণ, এবং স্মার্ট বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় বিনিয়োগ
- আঞ্চলিক বিদ্যুৎ বিনিময় জোরদার করে ব্যয় হ্রাস ও ভারসাম্য রক্ষা
- বিদ্যুৎ বাজার সংস্কার, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, এবং সরবরাহ চেইন শক্তিশালীকরণ
ইটিসির চেয়ারম্যান লর্ড অ্যাডেয়ার টার্নার বলেন, “বিশ্বজুড়ে সৌর ও বায়ু বিদ্যুতের খরচ ৫০% পর্যন্ত কমে আসবে। এটি জীবাশ্ম জ্বালানির তুলনায় অনেক বেশি সাশ্রয়ী হবে
এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।