বন্দর উপজেলার সমাজসেবা কার্যালয়টি আজ ভগ্নদশার চিত্র বহন করছে। ভবনের দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ছে, ছাদে দেখা দিয়েছে ফাটল। বের হয়ে গেছে রড। অফিস কক্ষের দেয়ালে স্যাঁতসেঁতে ভাব, কোথাও কোথাও পানি চুঁইয়ে পড়ছে বর্ষার দিনে। অথচ, এটি সেই কার্যালয়—যেখানে এলাকার অসহায়, দরিদ্র, বিধবা, প্রতিবন্ধী, বয়স্কসহ হাজারো সুবিধাবঞ্চিত মানুষ দৈনন্দিন সরকারি সহায়তা নিতে আসেন।
সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তি: এমন জরাজীর্ণ পরিবেশে সেবা নিতে এসে সাধারণ মানুষকে প্রতিনিয়তই বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ বসার মতো নেই পর্যাপ্ত চেয়ার, নেই একটি মানসম্মত ওয়েটিং এরিয়া। বর্ষায় পানি পড়ে ভিজে যায় গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, “বহুবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে। সংস্কারের প্রস্তাব গেছে, কিন্তু প্রতিক্রিয়া নেই। হয়তো এটাকে ‘দরিদ্রদের অফিস’ বলেই কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে না। সচেতন নাগরিকরা জানিয়েছে, সরকার যেখানে দরিদ্র ও অসহায়দের অধিকার নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। সেখানে এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানের অবহেলা দুঃখজনক। অবিলম্বে সংস্কার না হলে ভবিষ্যতে এটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। সমাজসেবা কর্মকর্তা ফয়সাল কবির জানান, বন্দর সমাজসেবা কার্যালয় কেবল একটি অফিস নয়, এটি অসংখ্য হতদরিদ্র মানুষের আশা ও নির্ভরতার জায়গা। তাই এর জরুরি সংস্কার ও আধুনিকায়ন এখন সময়ের দাবি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।