গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন বলেন, শহর বন্দরের বহু প্রতীক্ষিত কদম রসুল সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। তবে বর্তমানে সেতুটি শহর বন্দর সংযোগের পরিবর্তে শহর-বন্দর বিভাজনের কারণ হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সেতুর ল্যান্ডিং মুখ যদি নারায়ণগঞ্জ কলেজ সংলগ্ন স্থানে নির্মিত হয়, তবে ওই এলাকায় যানজট মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাবে। এতে সেতুটি শহর ও বন্দরের মানুষের জন্য ব্যবহারযোগ্য না হয়ে সমস্যার উৎস হয়ে দাঁড়াবে।
তরিকুল সুজন দাবি করেন, সেতুটি বন্দরের মানুষের জীবন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের জন্য বিশেষভাবে প্রয়োজন। যদি ল্যান্ডিং মুখ বর্তমান পরিকল্পিত স্থান থেকে দূরে সরানো হয়, তবে বাস ও নৌকার সুবিধা গ্রহণসহ নিত্যদিনের যাতায়াত ব্যাহত হবে। বিশেষত গার্মেন্ট শ্রমিকদের জন্য সেতুর পরিবর্তিত অবস্থান সময় ও খরচের দিক থেকে অসুবিধা সৃষ্টি করবে।
তিনি প্রশাসনের প্রতি প্রশ্ন তোলেন, দীর্ঘদিন ধরে যানজট নিরসনে প্রশাসন ব্যর্থ। কেন নারায়ণগঞ্জ কলেজ সংলগ্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সেতুর ল্যান্ডিং মুখের সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে না? শেষে তরিকুল সুজন জোর দিয়ে বলেন, সেতুর ল্যান্ডিং মুখ শহর বাসীর সুবিধার জন্য নয়, বন্দরের মানুষের জীবন সহজ ও উন্নত করার জন্য সুবিধাজনক স্থানে স্থাপন করতে হবে। এর মাধ্যমে নগরের অর্থনীতি সচল রাখা এবং বন্দরের মানুষের নিত্যদিনের যাতায়াত নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।
