ঢাকাশুক্রবার , ২৭ জুন ২০২৫
  1. আজ দেশজুড়ে
  2. আজকের সর্বশেষ
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি সংবাদ
  5. খাদ্য ও পুষ্টি
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম
  9. চাকরি-বাকরি
  10. ছড়া
  11. জাতীয়
  12. জীবনযাপন
  13. ঢাকা
  14. তথ্যপ্রযুক্তি
  15. ধর্ম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

একের পর এক সংবাদে ভীত হয়ে অবশেষে রাজাকারের নাতি পালিয়েছে দেশ ছেড়ে

নিজস্ব সংবাদদাতা
জুন ২৭, ২০২৫ ৬:২২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

একের পর এক সংবাদে ভীত হয়ে অবশেষে বন্দরের ডন খ্যাত রাজাকারের নাতি আবুল কাউসার আশা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে। জানা যায়, সম্প্রতি বন্দরের ডাবল মার্ডারের অন্যতম মাষ্টার মাইন্ড রাজাকার জালাল হাজির নাতি সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা পুলিশী গাফিলতির সুযোগে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।

গত শনিবার (২১ জুন) রাতে আধিপত্য বিস্তার, অটোরিকশা স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে রনি-জাফর ও বাবু-মেহেদী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ঘটে জোড়া হত্যাকাণ্ড। প্রথমে রাত ৯টার দিকে বন্দর বাসস্ট্যান্ডে রনি-জাফর গ্রুপের সদস্য পারভেজের বাবা, পেশায় রাজমিস্ত্রি আব্দুল কুদ্দুস (৬৫)-কে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ। এর আড়াই ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাবু-মেহেদী গ্রুপের অন্যতম নেতা, বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসানকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বন্দর থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। নিহত কুদ্দুসের মেয়ে রোখসানা আক্তার বাদী হয়ে একটি এবং মেহেদী হাসানের ভাই খালেদ সাইফুল্লাহ বাদী হয়ে অপর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, আব্দুল কুদ্দুস হত্যা মামলায় সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলায় বাবু ওরফে জুয়াড়ি বাবুসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে, মেহেদী হাসান হত্যা মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪০ জনকে আসামি করা হয়। উভয় মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এর মধ্যে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় ৬ জনকে। ঘটনার পর থেকেই হাফেজিবাগ এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে পুরো পাড়া, বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ দোকানপাট। নারী ও শিশুরা রয়েছেন আতঙ্কে। নিহত কুদ্দুসের স্ত্রী পারভীন আক্তার বলেন, আমার স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। কোনো ঝামেলায় ছিলেন না। অথচ বাবু-মেহেদীর লোকেরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। নিহত মেহেদী হাসানের ভাই খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, আমার ভাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। রনি-জাফরের লোকেরা তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মেরেছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপির রনি-জাফর এবং বাবু-মেহেদী গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ৫ আগস্টের পর থেকে এ বিরোধ আরও স্পষ্ট হয়। সাম্প্রতিক সময়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। গত শুক্রবার উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়, এতে অন্তত ৮ জন আহত হন।

বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে গাজীপুর সদরের গাজীপুরা ও অন্যান্য এলাকায় অভিযান চালিয়ে হান্নান সরকারসহ চারজনকে গ্রেফতার করে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা মো. আব্দুল কুদ্দুস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত হান্নান সরকার, মহানগর বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা, তার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে। তার দুই ছেলে জুনায়েদ এবং ফারদিনও এ ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের গ্রেফতারের পর র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিরুদ্ধে সন্দেহভাজন কার্যকলাপের তদন্ত চলছিল। অবশেষে গত বুধবার গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন হলেন বাবু শিকদার, বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য। তিনি ও তার সহযোগীরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে র‌্যাবের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। বাবু শিকদারের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ আছে এবং তিনি নানান সময়ে সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশের নজরে ছিলেন।

এদিকে, বন্দরের আরেক কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা, যাকে মাদক ব্যবসার একচ্ছত্র সম্রাট হিসেবে অভিহিত করা হয়, তার সম্পর্কেও স্থানীয়দের মধ্যে নানা ধরনের আলোচনা চলছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবুল কাউসার আশা দীর্ঘদিন ধরে বন্দরের মাদক চক্র নিয়ন্ত্রণ করছেন এবং তার শাসনাধীন এলাকায় মাদক ব্যবসার প্রসার ঘটেছে। অনেকের দাবি, কুদ্দুস হত্যাকাণ্ডের পেছনে আবুল কাউসার আশার রাজনৈতিক ও মাদক সংশ্লিষ্টতা আছে। এমনকি কিছু সূত্র বলছে, হত্যাকাণ্ডের পরপরই আবুল কাউসার আশার রাজনৈতিক মহল তার পক্ষ নিতে তৎপর হয়ে উঠেছে এবং তাকে মামলায় জড়িত হওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য নানান কৌশল অবলম্বন করছে। সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা অবশ্য নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছেন। তিনি মিডিয়ার সামনে আসেননি, তবে তার পক্ষে তার অনুসারীরা একাধিকবার দাবি করেছেন যে তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ।
এ ঘটনার পর বন্দরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে বিএনপির দু‘পক্ষের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্বের কারণে স্থানীয় রাজনৈতিক পরিবেশে আরো উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে। হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক সম্পর্ক এবং মাদক সংক্রাš বিষয় জড়িত থাকার অভিযোগ তদন্তে অনেক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। স্থানীয়রা মনে করছেন,র‌্যাব এবং পুলিশ বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে গভীর তদন্ত চালাচ্ছে এবং সকল সম্ভাব্য দিক অনুসন্ধান করছে। তারা জানান, আসল অপরাধীদের শনাক্ত করতে তারা দৃঢ়ভাবে কাজ করছেন। তবে এই বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নতুন এক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে, যা ভবিষ্যতে আরও বড় রাজনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে, হত্যাকাণ্ডের পেছনে কোনো ধরণের ষড়যন্ত্র থাকলে তা পুরোপুরি উন্মোচন করা হবে বলে র‌্যাব ও পুলিশ জানিয়েছে। রাজনৈতিক নেতা এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যারা স্থানীয় আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই ঘটনার পর বন্দরের পরিস্থিতি আরো জটিল হতে পারে বলে স্থানীয় জনগণ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন। বিশেষ করে মাদক ব্যবসার সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্কের সংযোগ, স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা এবং বিচার ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। র‌্যাব, পুলিশ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে, তবে স্থানীয় রাজনৈতিক চাপ এবং সংশ্লিষ্ট মহলের তৎপরতা বিষয়টি আরও জটিল করে তুলছে। বিএনপির নিবেদিত নেতারা মনে করেন, আশার মতো কুখ্যাত নেতারা যদি দলে স্থায়ি ভাবে আসন গেড়ে বসে তবে সাধারণ মানুষ বিএনপির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। এমন একদিন আসবে যখন বিএনপি করার মতো কোন মানুষকেই আর পাওয়া যাবে না। রাজাকার আল বদরদের সন্তান কিংবা পোষ্যদের চিহিৃত করে তাদের রাজনীতি থেকে বিদায় জানাতে হবে।

আমাদের সাইটে আমরা নিজস্ব সংবাদ তৈরির পাশাপাশি দেশের এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য সংবাদমাধ্যম থেকে গুরুত্বপূর্ণ খবর সংগ্রহ করে নির্ভুল সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। আমরা সবসময় তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা এবং সঠিকতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। তবে, যদি কোনো সংবাদ নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকে, তাহলে আমরা আপনাকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যম বা নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য।

এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।
%d bloggers like this: