যুগান্তর স্বজন সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি জাহাঙ্গীর ডালিমের উদ্যোগে গুনি কবি নারায়ণগঞ্জের গর্ব মুজিবুল হক কবীর স্যারের বই নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সোমবার বিকেল ৩ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ এর লাইব্রেরি কক্ষে এই আলোচনায় জাহাঙ্গীর ডালিমের বলেন, আমার মতো অনেকেরই অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন প্রিয় ব্যক্তিত্ব কবি মুজিবুল হক কবীর। যাঁকে আমরা কবীর স্যার বলে সম্বোধন করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি।৭০ দশকের কবিতার জগতে প্রবেশ করেই একের পর এক চমক দেখাতে থাকেন। এধারা এখনো অব্যাহত। অসংখ্য পাঠক প্রিয় কবিতা উপহার দিয়েছেন তিনি। শব্দ নিয়ে খেলা করতে ভালোবাসেন তাঁর কবিতা দুর্বোধ নয়। অত্যন্ত সহজ সরল ভাষায় লেখা তাঁর কবিতা পাঠকমহল ব্যাপক সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছে।
ইতিমধ্যেই তাঁর ১১ টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৮৭ সালে তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘পা যে আমার অনড় পাথর ‘ বাজারে এলে পাঠক মহলে বিপুল সাড়া পড়ে যায়। এরপর ধারাবাহিক ভাবে বের হয় আরো ১০ টি কাব্যগ্রন্থ। সর্ব শেষ ২০২১ সালে প্রকাশিত হয় আমাকে দাঁড়াতে দাও। বলাবাহুল্য, তাঁর প্রতিটি কাব্যগ্রন্থ ‘হই পাঠকের দৃষ্টি কেড়েছে। কবিতা র্চচার পাশাপাশি তিনি ছন্দ নিয়ে ও অনেক গবেষণা করছেন, ফলশ্রুতিতে তাঁর গবেষণালব্ধ প্রবন্ধগ্রন্থ বেরিয়েছে ৭ টি। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: ছন্দের ঘরবাড়ি, ছন্দের মায়ামৃগ ও অন্যান্য ভাবনা, ছন্দ শিল্প ; রবীন্দ্রনাথ ইত্যাদি। অনুবাদ র্চচাতে ও তিনি নৈপুণ্যের সাক্ষর রেখেছেন ইংরেজিতে অনুবাদ করা তাঁর ২টি বই হলো, সিলেক্টেড পোয়েমস অব মুজিবুল হক কবীর এবং আই পেইন্ট ইন দ্য সাইলেন্ট ক্যানভাস। নারায়ণগঞ্জের ছেলে মুজিবুল হক কবীর স্যার আমাদের গর্বের ধন। ১৯৫২ সালের ১১ এপ্রিল তিনি নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়া জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর পিতা প্রয়াত সিরাজুল হক ও ছিলেন সাহিত্য জগতের মানুষ। মূলত পিতার কাছ থেকেই তিনি সাহিত্য র্চচার প্রথম পাঠ গ্রহন করেন। জগন্নাথ কলেজ থেকে বাংলা ভাষাও সাহিত্যে বি.এ অর্নাস ও এম. এ ডিগ্রি অর্জনকারী কবীর স্যার শিক্ষকতা পেশাকে বেছে নিয়েছেন। ১৯৮০ সাল থেকে ২০১৮সাল পযর্ন্ত তিনি নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুলে সুনামের সাথে শিক্ষাকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। বর্তমানে তিনি স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ নারায়ণগঞ্জ আইডিয়াল স্কুলে গেস্ট টিচার হিসেবে কর্মরত আছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক কন্যা ও এক ছেলের জনক। তাঁর দু’সন্তানই শিক্ষকতা পেশায় কর্মরত। বই আড্ডায় মুজিবুল হক কবীর স্যার বলেন স্বজনদের উদ্দেশ্য, আমাকে নিয়ে একক আমার বই আলোচনা নারায়ণগঞ্জে কেহই করেনি, আমি দৈনিক যুগান্তর স্বজন সমাবেশ বিভাগীয় সম্পাদক ইমন চৌধুরী কে ধন্যবাদ জানাই এর জন্য নারায়ণগঞ্জ স্বজন সমাবেশ সভাপতি সহ স্বজনদের ধন্যবাদ এরকম সুন্দর আয়োজন করায়। ১৯৯০-৯৫ সালে নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুলের কবীর স্যারের ছাএ ছিলাম। তাঁকে অনুসরণ করেই আমার মতো নারায়ণগঞ্জের অনেক তরুণ সাহিত্যর্চচায় আগ্রহী হয়ে ওঠে। বিভিন্ন সাহিত্য সভায় তাঁর জ্ঞানগর্ভ আলোচনা আমাদের চলার পথকে সুগম করে দেয়। বিশেষ করে আমাকে নানানভাবে লেখালেখির পর্রামশ দিয়ে থাকতেন। এখনও অব্যাহত রেখেছেন। স্যার আমার সাথে যখনই দেখা হতো কুশলবিনিময় করেই লেখালেখির খবর নিতে ভুল করতেন না। তুই কবিতার বই বের করেছিস আরেকটা গল্পের বই বের কর বইমেলাতে। কবীর স্যারের উপর্যপুরি তাগিদে ফসল হচ্ছে আমার বই মেলাতে বই বের করা। আমি আনন্দিত, উদ্বোলিত স্যারের বই নিয়ে আড্ডাটা যুগান্তর স্বজন সমাবেশের বিভাগীয় সম্পাদক শ্রদ্ধেয় ইমন চৌধুরী ভাইয়ের জন্য করতে পেরে নিজেকে গর্বিতবোধ করছি। বই আড্ডায় আমার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ এর লাইব্রেরি স্যার মিরাজ মিয়া স্যার, স্বজনের সহ-সভাপতি রাকিবুল রকি, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল, প্রচার সম্পাদক মনির তালুকদার, সদস্য ফয়সাল, ফাহিম, সম্রাট, লিমন সহ স্বজনের।
এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।