নাম মাসুদুজ্জামান মাসুদ। সবাই চিনে মডেল মাসুদ নামে। গত আওয়ামী লীগের শাসনামলে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের দোসর হিসেবে পাশে থেকে নিয়েছেন ব্যাংকের মালিকানা সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সুবিধা।
গত ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গন আন্দোলনে বাধ্য হয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা সহ তার ৩শ এমপি, মন্ত্রী আত্মগোপনে চলে গেলেও সুচতুর মাসুদুজ্জামান মাসুদ ওরফে মডেল মাসুদ ভোল পাল্টে নিজেকে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে থাকেন নিজস্ব লোক দিয়ে। কিন্তু তিনি নিজে কোন কর্মসূচীতে মাঠে থাকেন নি। টাকার বিনিময়ে কিছু পাতি বিএনপি নেতাকে তার বলয়ে নিতে সক্ষম হন। নারায়নগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মধ্যে মাত্র ৬ জনকে তার দলে ভিড়াতে সক্ষম হন। এরা হলেন,যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, হাজ্বী ফারুক হোসেন, এড. শরিফুল ইসলাম শিপলু, এড. বিল্লাল হোসেন, শহিদুল ইসলাম রিপন ও সদস্য মনোয়ার হোসেন শোখনকে সবসময়ের সঙ্গী করে নিলেও উল্লেখ করার মতো বিএনপির আর কোন নেতাকে ভিড়াতে পারেননি। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আহবায়ক এড. শাখাওয়াত হোসেন খান এবং সদস্য সচিব এড আবু আল ইউসুফ খান টিপু প্রকাশ্যেই বলেছিলেন মডেল মাসুদ বিএনপির কেউ না। সে সেলিম ওসমানের প্রার্থী। যা ছিল চিরসত্য কথা। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিভিন্ন সুবিধা গ্রহন কারী ও বিএনপির বিরোধিতাকারী মডেল মাসুদ গত সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে ফুলের তোড়া দিয়ে বিএনপিতে যোগদান করেন এবং প্রাথমিক সদস্য পদ গ্রহণ করেন। এত দিন বিএনপি নেতা এড.সাখাওয়াত হোসেন খান ও এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু মডেল মাসুদ বিএনপি কেউ নয় বলে আসছিলেন তা ছিলো ধ্রুব সত্য তা প্রমান হয়েছে রিজভীর হাতে ফুল দিয়ে যোগদান করার ঘটনায়। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ত্যাগী ও হামলা, মামলার শিকার হওয়া নেতাকর্মীরা তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন,আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সিটিজেন ব্যাংক সহ বিভিন্ন সুবিধা গ্রহনকারী, অপশাসনের সহযোগী মডেল মাসুদ নিজেকে রক্ষার্থে ও ওসমান পরিবারের গোপনীয় কিছু মিশন নিয়ে বিএনপির রাজনীতিতে যোগদানের পিছনে পলাতক ওসমান পরিবারের নির্দেশ রয়েছে। আনোয়ার হোসেন আনু জানান, মডেল মাসুদ ৯১-৯৬ সালে ১১ ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ছিল। তার বাবাও বিএনপির রাজনীতি করতেন। সিটিজেন ব্যাংকের অর্থ কেলেংকারীর ঘটনা ধামাচাপা দিতে বিএনপিতে যোগদান বলে মনে করেন সাধারণ নেতাকর্মীরা। এমনকি গত ১৭ বছরে বিএনপির নির্যাতিত কোন নেতাকর্মীকে আর্থিক অনুদান বা পাশে গিয়ে দাড়িয়ে এমন কোন নজীর নেই। নিজেকে বিএনপি নেতা বানানোর জন্য তারেক জিয়ার ৩১ দফা নিয়ে প্রচারনা চালায় নিজস্ব কিছু লোক দিয়ে। এ গুলো আবার মডেল মাসুদের অনুসারী কিছু স্থানীয় পত্রিকা গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করে মডেল মাসুদকে বিএনপির পিওর নেতা বানানোর মিশনে নেমেছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। গত আওয়ামী লীগের ১৭ বছর আওয়ামী লীগের দোসর বিকেএমইএর সভাপতি হাতেমের সঙ্গী হিসেবে মডেল মাসুদ, মন্ত্রী গাজী,সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের দোসর হিসেবে আওয়ামী লীগের সকল অপকর্মের বৈধতা দিতো ব্যবসায়ী নেতা হিসেবে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে। এতেই তাদের সার্পোট পেয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি,জামায়াত সহ সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা, গুম, খুন, দুর্নীতি সহ নানান অপকর্ম এবং ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে সক্ষম হয়। সেই মডেল মাসুদ আগামীতে বিএনপির নমিনেশন নিয়ে এমপি হওয়ার খায়েশ দেখছে। ত্যাগী ও মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতে মডেল মাসুদকে নারায়ণগঞ্জ -৫ আসনে মনোনয়ন দেয়া হলে চরম ভূল করবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপি নীতি নির্ধারকরা। কেননা আওয়ামী লীগের রক্ত মডেল মাসুদের শরীরে মিশে আছে। আছে পতিত ওসমান পরিবারের আর্শীবাদ।
এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।