দলীয় ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ পূর্নবাসন বিষয়ক সম্পাদক আতাউর রহমান ওরফে চিকনা আতাউর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গোদনাইল মন্ডলপাড়া এলাকার সি.এস ও এস.এ দাগ নং ৩৩৭৪ ও আর.এস দাগ নং ৭৬১১ এর ৭.৭০ শতাংশ জমির প্রকৃত মালিক মৃত রমজান আলীর ছেলে রবিউল্লাহ চেয়ারম্যান। এতদিন আওয়ামী লীগের দলীয় শক্তি ব্যবহার করে ও মেয়র আইভীর ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় জমির মালিক রবিউল্লাহ কে মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে কোণঠাসা করে রেখেছেন আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান, তার ছেলে কাজী জুয়েল ও কাজী সুফিয়া বেগম।
এরপর থেকে জমি উদ্ধারে নানান চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন রবিউল্লাহ চেয়ারম্যান। এদিকে গত ০৫ আগষ্ট স্বেরাচারী আওয়ামী লীগের পতন হলে ছাত্র হত্যা মামলা খেয়ে কিছুদিন আত্মগোপনে চলে যান চিকনা আতাউর ও তাঁর সহযোগীরা। বর্তমানে আসামি গ্রেফতারে পুলিশের তৎপরতা না থাকায় ফের এলাকায় ফিরে ত্রাস শুরু করেছেন আতাউর ও তার সহযোগীরা। স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আইভী ও সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের কাছের অনুসারী হওয়ায় চিকনা আতাউরের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলার সাহস পেতেন না। তিনি দলীর প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সময়ে মানুষকে হুমকি-ধমকি দিয়ে জমি জবরদখল করতেন। একইভাবে রবিউল্লাহ চেয়ারম্যানের পৈতৃক সম্পত্তি জোরপূর্বক চিকনা আতাউর দখল করে রেখেছেন।
এবিষয়ে বক্তব্যের জন্য আতাউর রহমান কে একাধিকবার কল দেয়া হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহীনুর আলম বলেন,এ ঘটনায় অভিযোগ কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।