নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে এমপি হওয়ার খায়েশ দেখছেন এসি রুমে বসে থাকা আলহাজ্ব মুহাম্মদ শাহ আলম।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে মামলা থেকে বাঁচতে এবং নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষা করতে ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি পদ হতে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন আলহাজ্ব মোঃ শাহ আলম। ২০০৮ সালের মতো এবারও বিএনপি’র মনোনয়ন পেতে লবিং শুরু করেছেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যবসা সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নেওয়া মোঃ শাহ আলম। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২১০০ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের এমপি চিত্র নায়িকা সারাহ বেগম কবরীর নিকট পরাজিত হন। অপরদিকে সাধারণ নেতাকর্মীদের দাবি দুঃসময়ে বিএনপি ত্যাগ করা শাহ আলমকে যেন কোন মতে বিএনপি থেকে মনোনয়ন না দেয়া হয়। যারা গত আওয়ামী লীগ সরকারের অপশাসনামলে হামলা মামলা, নির্যাতন উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে সরব ছিলো তাদের মধ্য থেকে যেন নারায়ণগঞ্জ -৪ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়। গত ১৭ বছর হামলা, মামলা, নির্যাতন সহ্য করে রাজপথ দখল রেখেছিলেন সাবেক এমপি জেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব,নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু। এ চারজনের মধ্য থেকে যে কাউকে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হলে সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা তাদের বিজয়ী করতে আপ্রাণ চেষ্টা করবে। একটু সুত্র হতে জানা যায় গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি ছিলেন আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহ আলম। আওয়ামী লীগ নেতাদের হুমকি- ধামকিতে ভয় পেয়ে নিজে বাঁচতে ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষার্থে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি পদ হতে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে ব্যবসায়িক সুবিধা নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এমনকি তার অনুসারী নেতা কর্মীদের নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোন আন্দোলন সংগ্রামে যেতে বারণ করেছিলেন। অথচ গত ৫ আগস্ট ছাত্র- জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে চলে গেলে আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহ আলম বিএনপি’র মনোনয়ন তিনি পাবেন বলে নেতাকর্মীদের আশ্বস্ত করে মাঠে নামতে বলেন। এমনকি কিছুদিন আগে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পের নামে মাঠ গরম করার অপচেষ্টা চালান। কয়েকটি ইউনিয়নে বিনামূল্যে মানুষকে চিকিৎসা প্রদান করেন। জনশ্রুতি রয়েছে এটাকে ব্যবহার করে বিএনপি শীর্ষ নেতাদের বোঝাতে চেয়েছেন তিনি মাঠে রয়েছেন। গত কয়েকদিন স্বশরীরে মাঠে নেমে তারেক জিয়ার ৩১ দফা নিয়ে দু-একটি ইউনিয়নে গনসংযোগ করেন। অথচ বিগত ১৭ বছর এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ মাসেও তাকে রাজপথে দেখা যায়নি। যখনই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসে তখনই তিনি এমপি হবার খায়েশ নিয়ে নির্বাচন করতে পাগল হয়ে উঠেন। সাধারণ নেতাকর্মী ও ত্যাগীদের দাবী দুঃসময়ে মাঠে থাকা আলহাজ্ব গিয়াসউদ্দিন, মাশুকুল ইসলাম রাজিব,মশিউর রহমান রনি ও শহিদুল ইসলাম টিটুর মধ্য থেকে যে কোন একজনকে বিএনপির মনোনয়ন দেয়া হয়। টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যেন সুযোগ সন্ধানী শাহ আলমকে মনোনয়ন না দেয়া হয় এ দাবী ত্যাগীদের।
এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।
