আশ্বাসের বিশ্বাসে কাটছে দিন

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও’র সরকারি বাসভবনের পুকুর সংস্কার কাজ করতে গিয়ে গত ১৫ আগস্ট ধসে পড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েক ইব্রাহিমের বাড়ি। ঘটনাটি চার মাস অতিবাহিত হলেও এখনো মেরামত হয়নি বাড়িটি। আজ বিজয়ের মাসেও নিজের ঘরে ফিরতে পারলেন না মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি।
ধসে পড়ার সময় বাড়িতে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী, মেয়ে ও তিন নাতনি, অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রেহায় পান তারা। এরপর ইউএনও অফিস থেকে সাময়িকভাবে থাকার জন্য একটি পরিত্যক্ত ঘর দেওয়া হলেও সেখানে নেই পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ। সেই জড়াজীর্ণ ঘরে দুর্ভোগে দিন কাটছে পরিবারটির।
সে সময় ইউএনও তাসলিমা শিরীন এক মাসের মধ্যে ঘরটি সংস্কার কাজের আশ্বাস দেন। এছাড়াও বিএনপি নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী যুবদলের নেতা মশিউর রহমান রনি, জামায়াতের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আবদুল জব্বার ও মাওলানা মাঈনউদ্দিনও ঘর মেরামতের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ১০৫ দিনেও সংস্কারের ছিটে ফোটা লাগেনি অভাগা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ভেঙ্গে পরা আশ্রয়কেন্দ্রটির। ঘরটির কোনো কাজ শুরু হয়নি। লোক দেখানো রাজনীতিতে ফটো সেশনেই সিমাবদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পাশে দাড়ানো মানুষগুলো। স্থানীয়দের বক্তব্য, যারা আমাদের দেশ দিয়েছে তাদের পরিবারকে ঠিকানাহীন করার পায়তারা চলছে। অসহায় পরিবারটিকে লোক দেখানো সহানুভূতি উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন দলের নেতারা দেখালেও বাস্তবে এর চিত্র ভিন্ন। জেলা প্রসাশকের সহয়তায় মুক্তিযোদ্ধার বাড়িটি নির্মানে উদ্যোগ গ্রহন করা হোক।

এব্যপারে জানতে উপজেলা প্রকৌশলীকে ফোন করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়াও সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকেও ঘরটি পুনঃনির্মানে নেই নির্দিষ্ট সময়সূচি। ইউএনও অফিস বলছে পুকুরের কাজ শেষ হলে সহায়তা দেওয়া হবে; তবে কবে শেষ হবে তা কারো জানা নেই।
মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে লাবনী আক্তার বলেন, “ঘর ভেঙে যাওয়ার পর ১০৫ দিনেও মেরামত হলো না। পরিত্যক্ত ঘরে থাকা কঠিন। শীত আসছে যত দ্রুত সম্ভব নিজের ঘরে ফিরতে চাই।”