বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনী প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক গত ৫ জুন বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসনের দাবি সমর্থন করেছেন। এক সময়ের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের মধ্যে চলমান কথার যুদ্ধে এটিই সর্বশেষ আঘাত।
প্রেসিডেন্ট বনাম ইলন। কে জিতবে? আমি বাজি ধরছি ইলনের পক্ষে। ট্রাম্পকে অভিশংসন করা উচিত এবং জেডি ভ্যান্সকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা উচিত,’ বৃহস্পতিবার দুপুরে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্টে মন্তব্য করেন মালয়েশিয়াভিত্তিক ডানপন্থী লেখক ইয়ান মাইলস চিওং। প্রায় ২০ মিনিট পর চিওংয়ের ওই পোস্টের জবাবে মাস্ক শুধু লেখেন, ‘হ্যাঁ।
গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ও মাস্কের সম্পর্ক হঠাৎ করেই জনসমক্ষে চলে আসে। জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্জের সঙ্গে ওভাল অফিসে বৈঠকের সময় সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, মাস্কের আচরণে তিনি ‘খুবই বিস্মিত ও হতাশ।
জবাবে মাস্ক সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেন, প্রেসিডেন্টের ২০২৪ সালের নভেম্বরে নির্বাচনে জয়ের পেছনে তাঁর ভূমিকা ছিল। পাশাপাশি তিনি এক্স-এ একটি পোস্টে অভিযোগ করেন, যৌন অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত ধনকুবের জেফরি এপস্টাইনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ট্রাম্পের।
মাস্ক লিখেছেন, ‘এবার বড় বোমা ফেলার সময়। ট্রাম্প এপস্টাইনের নথিতে আছেন। এটাই আসল কারণ যে, এই নথিগুলো এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
পরে এক্স পোস্টে মাস্ক আরও লেখেন, ‘এই পোস্টটি মনে রাখুন। সত্য একদিন প্রকাশ পাবে।
মাস্কের এপস্টাইন ফাইল’ দাবি প্রসঙ্গে ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথম প্রতিক্রিয়ায় হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস ‘বড়, সুন্দর বিল’ এর প্রশংসা করেন এবং ইঙ্গিত দেন, মাস্কের আরও আগেই তার বিরোধিতা করা উচিত ছিল।
ইলন যদি আমার বিরোধিতা করে, তাতে আমার আপত্তি নেই। তবে সেটা মাসখানেক আগেই করা উচিত ছিল। এটি কংগ্রেসে উত্থাপিত অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিল। এতে ব্যয় ১.৬ ট্রিলিয়ন ডলার কমানো হয়েছে এবং ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। যদি এই বিল পাস না হয়, কর ৬৮ শতাংশ বাড়বে এবং আরও খারাপ পরিস্থিতি হবে। আমি এই বিশৃঙ্খলা তৈরি করিনি, আমি এটি ঠিক করতে এসেছি। এই বিল আমাদের দেশকে মহত্মের পথে এগিয়ে নেবে। মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন।’ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাস্ক ও চিওংয়ের পোস্টের জবাবে হোয়াইট হাউস একটি বিবৃতিতে এসব কথা বলে।
‘এটি ইলনের দুঃখজনক এক আচরণ, যিনি একটি বড়, সুন্দর বিলে নিজের পছন্দমতো নীতি না থাকায় অসন্তুষ্ট। প্রেসিডেন্ট এখন এই ঐতিহাসিক আইন পাস করানো এবং দেশকে আবার মহৎ করে তোলার দিকেই মনোযোগী’ এক বিবৃতিতে বলেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলাইন লেভিট।
এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।