ঢাকাসোমবার , ২৩ জুন ২০২৫
  1. আজ দেশজুড়ে
  2. আজকের সর্বশেষ
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি সংবাদ
  5. খাদ্য ও পুষ্টি
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম
  9. চাকরি-বাকরি
  10. ছড়া
  11. জাতীয়
  12. জীবনযাপন
  13. ঢাকা
  14. তথ্যপ্রযুক্তি
  15. ধর্ম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, লুট, দখলদারীর পর মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে বন্দরের মাফিয়া ডন ‘আশা’

নিজস্ব সংবাদদাতা
জুন ২৩, ২০২৫ ৭:০১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বন্দরের সর্বত্র ‘আশা’ নামে পরিচিত এক মাফিয়া ডনের আধিপত্য দিন দিন বেড়েই চলছে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, লুটপাট, এবং মাদক ব্যবসার পাশাপাশি, আশার গ্যাং পুরো বন্দরের ঘাট স্ট্যান্ডের ব্যবসা নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে তৎপর হয়ে উঠেছে। তারা কনটেইনার লোড-আনলোড, ট্যাক্সি, বাস এবং অন্যান্য পরিবহন ব্যবস্থা থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে। একে একে বন্দরের সবাই এই নব্য ডনের অধিনে যেতে বাধ্য হচ্ছে। সোনাকান্দা এলাকার দরবেশ থেকে শুরু করে সবাই এই ডনের নেতৃত্ব মাথা পেতে নিচ্ছে বাধ্য হয়ে।

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার দুইটি ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে। এই হত্যাকাণ্ডগুলোতে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, মাদক ব্যবসা এবং আধিপত্য বিস্তারকে মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা পুরো বন্দর এলাকায় আতঙ্ক এবং শঙ্কা সৃষ্টি করেছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মাঠে থাকলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে।২১ জুন রাত ৯টার দিকে, বন্দরের হাফেজিবাগ এলাকার রেল লাইন মসজিদের সামনে ভয়াবহ একটি হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত কুদ্দুস (৭০) স্থানীয় পানের দোকানদার ছিলেন।তাকে সন্ত্রাসীরা এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।স্থানীয়দের দাবি, কুদ্দুসের হত্যার পেছনে মাদক ব্যবসা এবং আধিপত্য নিয়ে বিরোধ রয়েছে।কুদ্দুসের ছেলে এবং সন্ত্রাসী গ্যাংয়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

কুদ্দুসকে হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হত্যাকাণ্ডের পর, এলাকার জনগণ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিল করে এবং সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনীকে এই হত্যার জন্য দায়ী করে অভিযোগ তোলে।
মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই, ২২ জুন রাত সাড়ে ৯টায়, বন্দরের শাহী মসজিদ এলাকায় আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সাবেক দুই কাউন্সিলর হান্নান সরকার ও আবুল কাওসার আশা এর সমর্থকদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়। এর ফলে ৮ জন গুরুতর আহত হন। জানা যায়, এ সংঘর্ষের মূল কারণ ছিল অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা বিরোধ।

শুক্রবারও একই জায়গায় সংঘর্ষ হয়েছিল, যাতে ৮ জন আহত হয়েছিল। এরপর, হান্নান গ্রুপের সদস্যরা আবুল কাওসার আশা গ্রুপের সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। সংঘর্ষের পর, আশা গ্রুপের সদস্যরা হান্নান সরকারের বাসায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। পুলিশ বাধা দিলে, হামলাকারীরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।এদিকে, গণমাধ্যমের কাছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, আশার গ্যাংয়ের সদস্যরা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করে এবং যারা তাদের আদেশ মানতে রাজি হয় না, তাদের বিরুদ্ধে শারীরিক আক্রমণও চালানো হয়। প্রশাসন আশার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের তদন্ত করলেও, তার শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এবং স্থানীয় নেতাদের সহায়তায় গ্রেফতার করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

এই পরিস্থিতির কারণে, বন্দরের সাধারণ জনগণ এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এলাকার মানুষ অভিযোগ করছেন, “এভাবেই চলতে থাকলে আমাদের ভবিষ্যত কী হবে? আমরা কীভাবে নিরাপদে চলাফেরা করব?” স্থানীয় জনগণের মতে, মাদক ব্যবসা, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হলেও, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। পুলিশ ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, “তদন্ত চলছে এবং আমরা অপরাধীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।

এলাকার বাসিন্দারা এখন প্রশ্ন তুলছেন, এই সহিংসতা কখন থামবে? বিশেষত মাদক ব্যবসা এবং রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে সাধারণ মানুষের জীবন বিপদমুক্ত হবে কিনা, তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। অনেকেই বলেন, নিরীহ চেহারার আড়ালে আশার মারাত্মক প্রতিহিংসা বন্দরকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে।
পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করছে, তবে বন্দরের জনগণের কাছে এখন জরুরি হয়ে উঠেছে একটি কার্যকর পদক্ষেপ, যাতে সহিংসতা বন্ধ হয়ে এলাকাটি শান্তিপূর্ণ হতে পারে। র‌্যাব-১১ এর অভিযান চালিয়ে এপর্যন্ত এজাহার ভুক্ত আসামী শান্ত ও রবিনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।

আমাদের সাইটে আমরা নিজস্ব সংবাদ তৈরির পাশাপাশি দেশের এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য সংবাদমাধ্যম থেকে গুরুত্বপূর্ণ খবর সংগ্রহ করে নির্ভুল সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। আমরা সবসময় তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা এবং সঠিকতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। তবে, যদি কোনো সংবাদ নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকে, তাহলে আমরা আপনাকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যম বা নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য।

এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।
%d bloggers like this: