অব্যবস্থাপনা, নিয়োগ জটিলতা ও স্বজনপ্রীতিতে জর্জরিত সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের দুঃখজনক চিত্র

শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন না দেওয়ার অজুহাতে প্রধান শিক্ষককে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করা হলেও, বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কর্মচারীরা এখনও তাদের বেতন পাননি। এমনকি ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী এবং খণ্ডকালীন শিক্ষকরা পর্যন্ত বেতন বঞ্চিত।

২০২২ সালে বিদ্যালয়টি সরকারিকরণের লক্ষ্যে ঢাকা অঞ্চলের উপপরিচালকের অধীনে পরিদর্শন সম্পন্ন হয়। তবে তখন সাবেক কমিটির সহযোগিতায় ধর্মীয় শিক্ষক তাজুল ইসলামের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ঘুষের প্রমাণ মেলে। মিনিস্ট্রি অডিটে এ নিয়োগ বিষয়ক জটিলতা উন্মোচিত হলে তার চাকরির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এছাড়া নিয়ম বহির্ভূতভাবে ইংরেজি বিষয়ের জন্য পাঁচজন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়, যেখানে প্রয়োজন ছিল মাত্র দুইজনের। নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে সুকুমার সাহা, শফিউদ্দিন, রেহেনা বেগম, সাইফুন্নাহার, এবং দিলরুবার নাম উল্লেখযোগ্য। একইভাবে বাংলা বিষয়ে প্রয়োজন ছিল দুইজন শিক্ষক, কিন্তু নিয়োগ দেওয়া হয় তিনজনকে।

বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরিবেশেও রয়েছে চরম বিশৃঙ্খলা। সাইফুন্নাহার রোজিনার অত্যাচারে খণ্ডকালীন শিক্ষকরা শান্তিতে কাজ করতে পারেন না। রুমিয়া আক্তার, পলি আক্তার, রিফাত পারভীনসহ অনেকেই চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। বিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ার একটি অন্যায্য উদাহরণ হল আব্দুল আউয়াল শিকদার। তৃতীয় বিভাগে এসএসসি পাস করা সত্ত্বেও, এলাকাবাসীর চাপে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার নিয়োগ নিয়ে বিদ্যালয় সরকারিকরণের পরও জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিদ্যালয়ের সরকারি হওয়া এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সুযোগ হতে পারত। কিন্তু স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির কারণে প্রতিষ্ঠানটির সরকারিকরণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

সঠিকভাবে এই সমস্যাগুলো নিরসন না করা হলে বিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ উন্নতি সম্ভব নয়।এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ জরুরি। স্থানীয় জনগণ আশা করছেন, বিদ্যালয়ের স্বচ্ছ প্রশাসন ও সরকারিকরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা হবে।