নারায়ণগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি এবং শিক্ষার পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিদ্যালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে অন্যান্য সিনিয়র শিক্ষকদের বিরুদ্ধে গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে, যা শিক্ষার মানকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, নিয়মিত ক্লাস বন্ধ থাকায় তাদের পড়ালেখায় চরম বিঘ্ন ঘটছে। নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে ২০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া, নানা অজুহাতে অভিভাবকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তিনি ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তার চাকরি নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া মডেল টেস্টের ফি এবং কিন্ডার গার্ডেন পরীক্ষার ফি আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া পূর্বে আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের সাথে অনৈতিক আচারণ করেছে বলে অভিযোগ করে সাবেক ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীর চাচা রমজান আলী বলেন আমার ভাতিজিকে এই স্কুলে পরতে দিয়েছিলাম কিন্তু খাইরুল স্যার আমার ভাতিজির সাথে অনৈতিক আচারণ করে শুধু আমার ভাতিজির সাথে নয় তারা আরও অনেক ছাত্রীদের সাথে অনৈতিক আচারণ করার সুযোগ খুজে।
অন্যদিকে সিনিয়র শিক্ষক তাইজুল ইসলামের নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ। তদন্তে প্রমাণিত হলে তার চাকরি বাতিল হতে পারে। মহিউদ্দিন নামের আরেক শিক্ষক ২০১৭ সালে কম্পিউটার চুরি এবং গোপন তথ্য ফাঁস করার অভিযোগে অভিযুক্ত। অন্যদিকে, রুজিনা নামের এক শিক্ষিকা অভিভাবকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রুজিনা শিক্ষিকা হলেও তার ভাবখানা এমন ছিলো তিনি অত্রস্কুলের ক্যাডার, ছাত্রদের কোনো অজুহাতে সার্টের কলার ধরে টেনে হিচড়ে মারধোর করতে কোনো প্রকার দ্বিধা বোধ করতেন না এই রুজিনা।
পলি রানির মতো শিক্ষকরাও নিয়োগ প্রাপ্ত বিষয় বাদ দিয়ে অন্য বিষয় পড়াচ্ছেন, যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলছে। একই সুত্রে গাথা আওয়াল শিকদার শিক্ষক যেনো রাজার রাজ্য বসে আছে। নিজ এলাকার দাপট ও শিকদার বংশের পরিচয় স্কুলটিকে নাচাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে।
অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন যে, বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে চলমান দুর্নীতি এবং চাঁদাবাজি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করছে। তারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি তদন্ত করছে বলে জানা গেছে। দোষ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের চাকরি থেকে অপসারণ এবং আত্মসাৎ করা অর্থ ফেরত নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
অভিভাবকরা আশাবাদী যে, দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের পরিবেশ পুনরুদ্ধার করে এটি আবার একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হবে।
এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।