নারায়ণগঞ্জের মদনপুরে অবস্থিত ‘দি বারাকা হাসপাতাল’ নিয়ে উঠে এসেছে একের পর এক ভয়াবহ অভিযোগ। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, এই হাসপাতালটি বর্তমানে শুধু চিকিৎসাসেবা নয়, অপরাধের আখড়া হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ট অয়ন ওসমানের সহযোগী মিন্টু, মনির, যারা বন্দরের আলোচিত মনু হত্যা মামলার আসামি, তারা বর্তমানে এই হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। অভিযোগ রয়েছে, তাদের কর্মকাণ্ডের পেছনে কিছু সুবিধাভোগী বিএনপি নেতার ছত্রছায়াও রয়েছে। যার ফলে প্রশাসনিক পদক্ষেপেও শৈথিল্য দেখা যাচ্ছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও বহাল তবিয়তে তার দোসরা।
এই মনির বন্দরের মনু হত্যা মামলার ১নং আসামি, একাধিকবার জেল হাজত কেটেছে। মনির ও মিন্টু আওয়ামী লীগের দোসরদের অন্যতম শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও বহাল তবিয়তে অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন তারা। মদনপুর দি বারাকাহ হাসপাতালকে পুঁজি করে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে এই মনির এবং মিন্টু তারা নিজেরাই মাদকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। মদনপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মনির হোসেন।
হাসপাতালকে ঘিরে ভয়াবহ অনিয়ম:
আইসিইউ কনসালট্যান্ট ছাড়াই শুধুমাত্র মেডিকেল অফিসার দিয়ে আইসিইউ চালানো হচ্ছে। ফলে আইসিইউতে নিয়মিত রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। রোগীদের সঙ্গে স্টাফদের অসদাচরণ ও মারমুখী ব্যবহার নতুন কিছু নয়; প্রতিদিনই রোগীর স্বজনরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। মাদক বিক্রি ও জুয়া খেলার আড্ডা চলছে হাসপাতালের পেছনের টিনসেড কক্ষে। অভিযোগ রয়েছে, মিন্টুর নেতৃত্বে চলা এসব অপকর্মে প্রতিদিন লেনদেন হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। ৩০টির বেশি টিনসেড রুমে অবৈধ গ্যাস সংযোগ যা বিস্ফোরণের ঝুঁকিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা তৈরি করছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হাসপাতালের নামে চলছে এক ধরনের নিরাপদ অপরাধ কেন্দ্র। কিছু বললে হুমকি আসে। প্রশাসন নীরব দর্শকের মতো। এছাড়া অনেকেই বলেন, মাদক, অবৈধ গ্যাস, অবৈধ দখল এবং চিকিৎসায় গাফিলতি- সবকিছু মিলিয়ে বারাকা হাসপাতাল এলাকায় জীবনযাপন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।
এ বিষয় জানতে দি বারাকা হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলাম এর মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন আমি ব্যস্ত আছি পরে কথা বলব। আপনি যে বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছেন সেগুলো ভিত্তিহীন। বলে ফোন কেটে দেয়।
এলাকাবাসী দ্রুত হাসপাতালের কার্যক্রম পর্যালোচনা ও অবৈধ দখলদারদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।