সিদ্ধিরগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় ডিপিডিসির উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান সোহাগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গ্যারেজ ও বাসা বাড়ী থেকে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দাবিকৃত ঘুষ না দিলে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের ভয় দেখান বলে জানা যায়। বাণিজ্যিক লাইনকে আবাসিক করিয়ে কদমতলী এলাকার বাসিন্দা চিহ্নিত বিদ্যুতের দালাল আক্তারের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা অনৈতিকভাবে আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। জানা যায়, পাগলা বাড়ি, কদমতলী ও চৌধুরী বাড়ির দায়িত্বে রয়েছেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান সোহাগ। এসব এলাকাতে নতুন সংযোগ পাস করাতে হলে সোহাগ কে ফাইল প্রতি ৩০০০ টাকা ঘুষ প্রদান করতে হয়। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ টি ফাইল সোহাগ টাকার বিনিময় পাস করান। টাকা না দিলে বিভিন্ন অজুহাতে গ্রাহকদের হয়রানি করারও অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় বাসা বাড়ি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে আক্তার নামে চিহ্নিত বিদ্যুতের দালাল কে দিয়ে সোহাগ রিডিং আনা এবং বিল দেয়ার কাজও করানো হচ্ছে বলে জানা যায়।
এমন অভিযোগ করেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বাসিন্দা। নাসিক ১ নং ওয়ার্ড পাগলাবাড়ী, কদমতলী ও চৌধুরীবাড়ী সহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় কদমতলীর আক্তারকে নিয়ে একটি বিদ্যুতের দালাল সিন্ডিকেট তৈরি করেছে ডিপিডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান সোহাগ। এই আক্তার বিদ্যুতের চিহ্নিত দালাল হিসেবে প্রমাণিত হওয়ায় সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষ দালালদের সাইনবোর্ডে তার একটি ছবি প্রদর্শন করে রেখেছেন। অথচ সে দালাল আক্তারকে দিয়েই অনৈতিকভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার সুবিধা নিচ্ছে সোহাগ। যা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে। সোহাগের এমন ঘুষ কর্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী বলেন, আব্দুর রহমান সোহাগকে ঘুষ না দিলে বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানি করে। তাই বাধ্য হয়ে তাকে ঘুষ দিতে হয়। আব্দুর রহমান সোহাগ যোগদান করার পর থেকেই অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার ঘুষ বাণিজ্য ও সাধারণ গ্রাহকদের হয়রানি করছে। আমরা এই দুর্নীতিবাজ ডিপিডিসির কর্মকর্তা সোহাগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এমন অভিযোগ সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির এসি শের আলীর মুঠোফোনে জানাতে চাইলে গণমাধ্যম কর্মীকে অফিসে আসতে বলেন। উক্ত বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করবেন না বলে জানান। উক্ত বিষয় জানতে সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান সোহাগের মুঠোফোন কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।