সদ্য বিএনপিতে যোগদান করা শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ ওরফে মডেল মাসুদকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়।
গত সোমবার (২২শে সেপ্টেম্বর) তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে বিএনপিতে যোগদান করেন এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি। অতীতে আওয়ামীপন্থী থাকলেও নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন সুবিধা নেওয়ার চেষ্টায় বর্তমানে বিএনপিপন্থী অবস্থানে তিনি ঝুঁকেছেন বলে জানা যায়। যা রাজনৈতিক সুবিধাবাদিতার ইঙ্গিত দেয়।
যখন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিথ্যা মামলায় জেল খাটিয়েছিলো তখন মডেল মাসুদ আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাথে মিলেমিশে ব্যাংকের মালিকানা নিয়ে হাজার কোটি টাকা লুটপাটে ব্যস্ত ছিলেন। যারা আওয়ামী নেতাদের সাথে মিলেমিশে ব্যবসা বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনেছেন তাদের দলে ভিড়িয়ে বিএনপির রাজনীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে কেন্দ্রীয় কমিটির কিছু নেতা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি আর আওয়ামী লীগ সবখানেই সুবিধাবাদী বলে কিছু লোক থাকে। তাদের দলের নাম ‘সুবিধাবাদী দল’। এরা তেল মারার দলের অন্তর্ভুক্ত। এদের চিহ্নিত করা হলেও কোনো না কোনো তদবিরে তারা আবারও টার্গেট মতো সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করবে। আওয়ামী লীগকে বোঝাবে তিনি আওয়ামী লীগের, আবার বিএনপির সময় তারাই হয়ে যাবেন বিএনপি। মডেল মাসুদ বিগত সময়ে আওয়ামীপন্থী হলেও জুলাই গণঅভ্যুানের পর ভোল পাল্টে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিএনপিপন্থী নেতাদের সাথে সখ্যতা বাড়িয়ে তাদের বাগিয়ে নেন। বিগত সময়ে মডেল মাসুদ যিনি আওয়ামী লীগের এক অদৃশ্য শক্তি হিসেবে ছিলেন এবং আওয়ামী লীগের সভাসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কিন্তু তিনি এখন বিএনপিপন্থি নেতা বলে নিজেকে উপস্থাপন করেন। মডেল মাসুদের এ ধরনের আচরণ নিন্দনীয় এবং এতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি পরিবারে বিভাজন সৃষ্টি হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বিএনপির উচিত স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে আওয়ামী পন্থি নেতাদের বাদ দিয়ে বিগত সময়ের ত্যাগী নেতাদের হাতে দায়িত্ব দেয়া। দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থাকা নেতাকর্মীরা তাকে মেনে নিতে পারছেনা। তাদের ভাষ্যমতে, বাংলাদেশ হাসিনামুক্ত হয়েছে কিন্তু এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। ফ্যাসিবাদের দোসরের খুঁটি অনেক গভীর ও শক্তিশালী। এদের তালিকা করে সমূলে উৎখাত করতে না পারলে ছাত্র-জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। তাই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিকে এবিষয়ে আরও কঠোর হতে হবে।
এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।